পুরান ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, সোনারগাঁও এর পর এবার ইউএপি হিস্ট্রি এ্যান্ড হেরিটেজ ক্লাব হাজির হয়ে গেলো মানিকগঞ্জ। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি ও পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। এই দুটি স্থানে ঘুরে আমরা ফিরে গেলাম বাংলার জমিদারি আমলে, যেখানে প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি কোণা ইতিহাসের সাক্ষী।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, যার স্থাপত্যে মুঘল ও বাংলা শৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়, তার বিশালতা ও শৌর্য আমাদের মুগ্ধ করে। জমিদার পরিবারের অভিজ্ঞান ও ঐতিহ্য এখানে প্রতিটি ঘর, হলঘর এবং প্রাসাদিক আঙ্গিকে ফুটে উঠেছে। জমিদার বাড়ির বিশাল উঠান, সুসজ্জিত বারান্দা এবং বড় বড় দরজা যেন সেই সময়কার ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের প্রতীক।
অপরদিকে, পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এই বাড়ির গম্বুজ আকৃতির ছাদ, আর মার্বেল মেঝে দেখে বুঝতে পারা যায়, জমিদারি আমলে এখানে কী রকম সমৃদ্ধ জীবনযাপন করা হতো।
প্রাচীন বাড়িগুলোর মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় মনে হচ্ছিল যেন আমরা শুধু অতীতের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি না, বরং ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছি। এই অভিজ্ঞতা আমাদের এক অমূল্য স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে।
এবং সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম মানিকগঞ্জের নাহার গার্ডেনে৷ গল্প, আড্ডা, গান শেষে পাড়ি জমালাম ঢাকার উদ্দেশ্যে ৷
সবকিছুর জন্যে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ড. এ এস এম মহসিন স্যার (পরিচালক, ইউএপি ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তর) এবং ফারহানা আক্তার আঁখি ম্যাম (এডভাইজর, ইউএপি হিস্ট্রি এন্ড হেরিটেজ ক্লাব) এর প্রতি। এছাড়াও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সামেন বৈরাগী স্যার, আরজুমান আরা ম্যাম, শামসুন্নাহার ম্যাম, তাহুরা ম্যাম এর প্রতি৷ যাদের উপস্থিতি আমাদের কাজকে আরও সার্থক ও সফল করে তুলেছে ৷